পার্সটুডে জানিয়েছে, ইসরাইলি মিডিয়া এবং অর্থনৈতিক সূত্র জানিয়েছে- এক হাজার দুইশ ডলারের মধ্যে সামরিক খরচ, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ক্ষতি, ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং পুনর্গঠন খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী তাদের অস্ত্রের মজুদ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনতে এবং রিজার্ভ বাহিনী ধরে রাখতে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন শেকেল (প্রায় ১১.৭ বিলিয়ন ডলার) তহবিলের আবেদন জানিয়েছে।
যুদ্ধের খরচ মেটাতে দখলদার ইসরাইলের বাজেট ঘাটতি প্রায় ৬ শতাংশে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই সময়ে দখলদার ইসরাইলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও কমপক্ষে ০.২ শতাংশ হ্রাস পাবে।
দখলদার ইসরাইলের অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র ইয়েদিয়ুথ আহারনোথকে জানিয়েছে, ইহুদিবাদী ইসরাইল যুদ্ধের খরচ এবং জরুরি প্রতিরক্ষা চাহিদা মেটাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা বা ঋণের গ্যারান্টি চাইতে পারে।
মার্কিন অধ্যাপক নাসের আব্দুল করিম আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, এই হামলাগুলো কেবল ইসরাইলের সামরিক ব্যয়কেই সরাসরি প্রভাবিত করেনি বরং ইহুদিবাদী ইসরাইলের উৎপাদনশীল কর্মকাণ্ডকেও প্রভাবিত করেছে।
আব্দুল করিম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান শাসকগোষ্ঠীর সরকারি অর্থব্যবস্থাকে আরও খারাপ করবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান তেল আবিব এবং হাইফায় গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে। ইরান ইসরাইলের বৃহত্তম তেল শোধনাগারে হামলা চালিয়েছে, এর ফলে তেল শোধনাগারটি বন্ধ হয়ে গেছে। ফিনান্সিয়াল টাইমস বলছে, এর ফলে প্রতিদিন আনুমানিক ৩০ লাখ ডলার ক্ষতি হচ্ছে।
ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলায় বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। বিমানবন্দরটি সাধারণত প্রতিদিন প্রায় ৩০০টি ফ্লাইট পরিচালনা এবং ৩৫,০০০ যাত্রী আনা-নেয়া করে। রোববার থেকে এই বিমানবন্দরের কেবল একটা অংশ চালু হয়েছে। এ কারণেও ইসরাইলের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে।#
Your Comment